November 2, 2024, 8:30 am
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
কুষ্টিয়া শহরে প্রকাশ্য দিবালোকে গুলিবর্ষণের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ ৩ জনই মারা গেছে। তারা হলেন ২৫-বছর বয়সী এক নারী, তার ৪ বছরের শিশু ও ঐ নারীর বন্ধু আরেকজন।
রবিবার সকাল পৌনে ১২টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের কাস্টমস অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতদের পরিচয় এখন পর্যন্ত যা পাওয়া গেছে তা হলো আসমা খাতুন (২৭) তার শিশুপুত্র রবিন (৭) ও শাকিল খান (৩৪)। শাকিলের বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার সাঁওতা গ্রামে। তার পিতার নাম মেজবার রহমান খান।
তবে নিহত ঐ নারীর পরিচয় বিস্তারিত পাওয়া যায়নি। নিহতদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্কের বিষয়টি এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুুলিশ জানিয়েছে হত্যাকারী অভিযুক্ত একজন পুলিশ এএসআই। তার নাম সৌমেন। তিনি কুষ্টিয়ার একটি ক্যাম্পে কর্মওু বলে জানা গেছে।
তবে কী কারণে এ হত্যা করা হয়েছে, সে বিষয় কিছু জানা যায়নি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শী এক দোকানী নাম প্রকাশ না করে জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঐ নারী কাস্টমস মোড়ে এসে তার শিশুপুত্রকে নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। তিনি ফোনে কারো সাথে কথা বলার কিছুক্ষণ পর সেখানে আসেন বিকাশ কর্মী শাকিল। তারা দোকানের সামনে দাঁড়িয়েই কথা বলছিলেন। তার কিছুক্ষণ পর সেখানে আসেন ঐ পুলিশ এএসআই সৌমেন। তিনি কথা বলছিলেন। হঠাৎ সৌমেনকে খুব উত্তেজিত দেখায়। তার হাতে এ সময় পিস্তল দেখতে পাওয়া যায়। এরপর তিনি পিস্তল দিয়ে ঐ নারীর মাথায় গুলি করেন। গুলি তার মাথা ভেদ করে বেরিয়ে যায় এবং সাথে সাথে তিনি মারা যান। এরপর তিনি শাকিলকেও মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। শিশু রবিন দৌড়ে পালিয়ে পাশের মসজিদের মধ্যে ঢুকে পড়ে। সেখান থেকে তাকে ধরে এনে মাথায় গুলি করা হয়। শিশুটিও ঘচনাস্থলে মারা যায়।
মোড়ে উপস্থিত লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে গেলে হত্যাকারী সেখান থেকে পালানোর চেষ্টা করে। জনতা তাকে ধাওয়া করলে তিনি পাশেই একটি বাড়িতে আশ্রয় নেন। উত্তেজিত জনতা ঐ বাড়ি লক্ষ্য করে ইটপাটকেল মারতে থাকে।
এদিকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে লাশ উদ্ধার করে ও ঐ হত্যাকারীকে গ্রেফতার করে।
কুষ্টিয়া পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ঐ পুলিশ এএসআইকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ হচ্ছে।
Leave a Reply